তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস বা এলপিজি (LPG- Liquefide petroleum gas) আমাদের দেশসহ অনেক দেশে অর্থনৈতিক সুবিধার জন্য রান্নার কাজে ব্যবহার করা হয়। এ গ্যাস মূলত বিউটেন ও প্রোপেন এর সমন্বয়ে গঠিত হয়। তাই পানি দূষণ ও ভূমি দূষণ ঘটেনা এবং দ্রুত চাপ মুক্ত হয়ে বাতাসে মিশে যেতে পারে। ১৯১০ সালে আবিষ্কৃত হওয়ার পর ১৯১২ সালে বাণিজ্যিক ভাবে এর উৎপাদন শুরু হয়। তবে অসাবধানতার কারণে প্রায় এলপিজি  গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়। আজ আমরা গ্যাস সিলিন্ডারের নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ কিছু নির্দেশনা সম্পর্কে জানব।

এলপিজি সিলিন্ডার বিস্ফোরণ এড়াতে সতর্কতা ও করণীয়

  • সিলিন্ডার কিনার সময় সিলিন্ডারের মুখে কাগজ মোড়ানো সিল আছে কি না, তা দেখে নিতে হবে।
  • সিলিন্ডার সমতল জায়ায় খাড়াভাবে রাখুন।
  • ব্যবহার শেষে রেগুলেটর সুইচ বন্ধ করে সেফটি ক্যাপ দিয়ে সিলিন্ডারের মুখ আটকিয়ে রাখতে হবে।
  • গ্যাসের গন্ধ পেলে চুলা, ম্যাচের কাঠি ও গ্যাসলাইট জ্বালাবেন না। ইলেক্ট্রিক সুইচ এবং মোবাইল ফোন অন বা  অফ করবেন না।
  • সিলিন্ডার জ্বালানোর আধা ঘণ্টা আগেই জানালা খুলে দিন।
  • প্রচণ্ড ধাক্কা বা যাতে পড়ে না যায় সে দিকে খেয়াল রাখা।
  • সিলিন্ডার ব্যবহারের সময় সেফটি জুতা ও হাতে মোজা ব্যবহার করা।
  • সিলিন্ডারের মুখের বাল্ব খোলা ও বন্ধ করার সময় অযথা বল প্রয়োগ করা যাবে না।
  • সি্লিন্ডার সরাসরি সূর্যের আলো, বৃষ্টি এবং তাপ থেকে নিরাপদ দূরুত্ব রাখতে হবে।
  • জ্বলন্ত চুলা থেকে পাত্র নামানো যাবে না।
  • রান্না শেষে প্রথমে চুলা বন্ধ করে পরে সিলিন্ডারের সংযোগ বন্ধ করতে হবে।
  • সিলিন্ডার খালি হোক বা পূর্ণ হোক ব্যবহারের পর অবশ্যই সেফটি ক্যাপ লাগিয়ে রাখতে হবে।
  • রান্নার সময় লাইলনের জামা ব্যবহার না করে সুতি কাপড়ের জামা বা অ্যাপ্রোন ব্যবহার করতে হবে।
  • সিলিন্ডারের পাশে ধূমপান করা যাবে না।

  • অনভিজ্ঞ লোক দিয়ে সিলিন্ডার মেরামত করা যাবে না।
  • রান্না করা অবস্থায় চুলা ছেড়ে অন্যত্র যাওয়া যাবে না।
  • তাপ নির্গত হয় এমন কোনো বস্তু সিলেন্ডারের এক মিটারের মধ্যে রাখা যাবে না।
  • দুর্ঘটনা এড়াতে দীর্ঘস্থায়ী নিরাপদ সঞ্চালন পাইপ ব্যবহার করুন।

আরও পড়ুনঃ জিপিএস ও জিআইএস কী? জেনে নিন অজানা তথ্য।

  • সিলিন্ডারের বাল্বে তেল বা গ্রীজ ব্যবহার করা যাবে না।
  • সঞ্চালন পাইপ সাবানের ফেনা দিয়ে লিকেজ চেক করুন।
  • প্রতি দুই বছর পর পর নতুন সঞ্চালন পাইপ লাগাতে হবে।
  • সিলিন্ডার শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।
  • নকল এড়াতে অনুমোদিত ডিলারের কাছ থেকে এলপিজি সিলিন্ডার ক্রয় করতে হবে।
  • স্টোরেজ বা গুদামজাত করতে সিলিন্ডার খোলা রাখতে হবে।