Spread the love
দূরবর্তী গন্তব্যে দ্রুত পৌঁছানোর জন্য এরোপ্লেন বা বিমান সবচাইতে সুবিধাজনক মাধ্যম। এটি হলো পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে উড়ার জন্য ডিজাইন করা যানবাহন। বিমান আধুনিক সমাজে ভ্রমণে বিপ্লব এনেছে এবং অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। আজ আমরা আকাশে উড়ে বেড়ানো এ যানটি সম্পর্কে কিছু মজার ফ্যাক্ট বা তথ্য শেয়ার করব।
এরোপ্লেন বা বিমান সম্পর্কিত মজার অজানা তথ্য
- কালো রঙের যেকোনো প্লেন সাদা বা হালকা রঙের প্লেনের চেয়ে ৮ (আট) জন যাত্রীর সমান ওজন বেশি হয়। তাই কালো রঙের প্লেনে ভারাটাও বেশি।
- প্লেনে আকাশে ওড়ার সময় প্রত্যেক যাত্রীর শরীর থেকে ঘণ্টায় ৮ আউন্স পানি কমে যায়। তাই আকাশে ওড়ার সময় পানি পান করা কমানো যাবে না।
- প্লেনে চড়লে অজানা ভয়ে গলা শুকিয়ে যায় এ ধরণের মানুষের সংখ্যা শতকরা ৮০ জন। বিমান ও উঁচু বিল্ডিং চড়তে ভয় পাওয়া কে বলে অ্যাক্রোফেবিয়া।
- পরিসংখ্যান অনুযায়ী বর্তমান বিশ্বের ৫ শতাংশ মানুষ বিমান ভ্রমণ করে থাকে। নিয়মিত ভ্রমণ করে পৃথিবীর জনসংখ্যার নির্দিষ্ট একটি ক্ষুদ্র অংশ।
- প্লেনের মূল পাইলট ও কো-পাইলটকে কখনো একই ধরণের খাবার খেতে দেওয়া হয় না। ফুড পয়জিং বা খাদ্যে বিষক্রিয়া হলে এক সাথে দুজনে যেন অসুস্থ না হয়ে যান ।
- প্রতিটি প্লেন ১০০০০ (এক হাজার) ঘণ্টা উড্ডয়নের মধ্যে কমপক্ষে ১ বার বজ্রপাতের শিকার হয়। তবে বজ্রপাতে প্লেনগুলোর কোনো ক্ষতি হয় না কারণ বর্তমানের প্লেনগুলো তৈরি করা হয়েছে বজ্রপাতরোধী হিসেবে।
আরও পড়ুনঃ যে ৮ লক্ষণে বুঝবেন চশমা বদল করার সময় হয়েছে
- কমার্শিয়াল বড় প্লেনগুলোতে সাধারণত দুটি ইঞ্জিন থাকে। তবে একটা ইঞ্জিন দিয়েও প্লেন ভালোভাবেই উড়তে পারে। দুটি ইঞ্জিন বিকল হলেও বোয়িং ৭৪৭ প্লেন অনেক দূর যেতে পারে যা জরুরি নিরাপদ অবতরনের জন্য যথেষ্ট।
- বিমানে মিষ্টি খাবার কম মিষ্টি মনে হয় এবং লবনের পরিমান বেশি মনে হয়। তাই বিমানে খাবার খেতে বিস্বাদ লাগতে পারে কারণ প্লেনের ভিতরের কৃত্রিম বাতাসের অনার্দ্র পরিবেশ ব্রেনের স্বাদ গ্রহণের ক্ষমতা সাময়িকভাবে দুর্বল করে দেয়।
- অবতরণের সময় বিমানের ভিতরের আলো কমিয়ে দেওয়া হয় যাতে যাত্রীগণ বাইরের অন্ধকারের সাথে চোখ সহজে খাপ খাওয়াতে পারে।
- কোনো লাগেজ বিমানে হারিয়ে গেলে ৯০ দিনের মধ্যে মালিকানা দাবি না করলে তা নিলামে বিক্রি হয়।
- ব্রিটিশ এয়ারলাইন পাইলট’স অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য মতে, অর্ধেকেরও বেশি পাইলট ককপিটে ঘুমিয়ে পড়ার কথা স্বীকার করেছেন।
- বোয়িং ৭৭৭ এবং ৭৮৭ ড্রিমলাইনারের মত বিমানগুলোতে ক্রুদের বিশ্রাম ও বিনোদনের জন্য আলাদা বেডরুম থাকে। আপনি চাইলে তা খুঁজে পাবেন না কারণ এ রুমগুলোর দরজা গোপন করা থাকে।
- বিমানের ডানার লাল ও সবুজ বাতির মাধ্যমে পাইলট এবং কেবিন ক্রুদের জানানো হয় কোন পদ্ধতিতে বিমান চলবে।
- প্লেন ওড়ার সময় হাতে থাকা মোবাইল পাইলট ও এয়ার ট্রফিক কন্ট্রোলের মধ্যে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হতে পারে তাই প্লেনে উঠেই মোবাইল সেট এয়ারপ্লেন মুডে রাখা উচিত।
- প্লেন ওড়া ও অবতরণের সময়কে সবচাইতে বিপজ্জনক সময় বলে মনে কয়রা হয়।
- স্বাভাবিকভাবে প্লেন ৪০ হাজার ফিট বা এর কিছু বেশি উপরে ওড়ে। আরো উপরে ওড়ার ক্ষমতা থাকলেও যাত্রীদের স্বাস্থ্যঝুঁকির কথা চিন্তা করে ওড়ানো হয় না।
- বিমানে যাত্রা পথে কেঊ মারা গেলে মৃতদেহটি সিট বেল্ট দিয়ে সিটের সঙ্গে আটকিয়ে কম্বল বা চাদর দিয়ে ডেকে রাখা হয়।
- প্লেনে যে অক্সিজেন মাস্কগুলো দেয়া হয় তা দিয়ে আপনি ১৫ মিনিট শ্বাস নিতে পারবেন।
Spread the love