কিডনি মানবদেহের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের মধ্যে একটি। বিভিন্ন ধরণের দূষিত বর্জ্য রক্ত থেকে ছেঁকে বের করে দেওয়া ও পানির ভারসাম্যতা রক্ষা করা কিডনির অন্যতম কাজ। এটি ঠিকমত কাজ না করলে শরীরে বিষাক্ত পদার্থ জমে ঘটতে পারে নানা বিপত্তি। আমরা যদি নিয়মিত কিছু নিয়ম মেনে চলি তাহলে এটি সুস্থ রাখা সম্ভব।

কিডনি সুরক্ষায় যে নিয়মগুলো মেনে চলবেনঃ

  • কিডনি ভালো রাখতে নিয়মিত ৮-১০ গ্লাস পানি খাওয়া উচিত। মনে রাখবেন পর্যাপ্ত পানি খেলে কিডনির স্বাভাবি কার্যক্রম ঠিক থাকে এবং কিডনিতে পাথর হয় না।
  • প্রতিদিন মানব শরীরে ১ চা চামচ লবনের চাহিদা থাকে, তাই এর চেয়ে বেশি লবন খাওয়ার অভ্যাস পরিহার করতে হবে।
  • ডায়াবেটিস রোগীরা কিডনি ভালো রাখতে নিয়মিত সুগার পরীক্ষা করতে হবে। সুগারের পরিমাণ বেশি থকলে মিষ্টিজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলা জরুরী।
  • একজন মানুষের শরীরের দৈনিক ৫০০ মিলিগ্রামের বেশি ভিটামিন সি এর প্রয়োজন নেই। তাই প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খেলে কিডনির বড় ধরণের ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।

  • অতিরিক্ত প্রাণিজ প্রোটিন এড়িয়ে খাবার তালিকায় ডালজাতীয় খাদ্য রাখতে হবে।
  • প্রক্রিয়াজাত খাবার, ফাস্টফুড, চিপস, লবন দিয়ে ভাজা বাদাম ও ইনস্ট্যান্ট নুডলস কিডনির জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।
  • ধূমপান ও মদপানের ফলে কিডনিতে রক্ত চলাচল কমে যেতে থাকে এবং কিডনির কর্মক্ষমতা হ্রাস পায়। তাই ধূমপান ও মদপানের অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে।

  • কোমল পানীয় বা বিভিন্ন ধরণের এনার্জি ড্রিংক কিডনির জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এজন্য কোমল পানীয় সম্পূর্ণ এড়িয়ে চলা উচিত।।
  • ঔষধ খাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক হতে হবে। বিশেষ করে ব্যথানাশক ঔষধ গুলো কিডনির জন্য হুমকিস্বরূপ। যেকোনো ঔষধ খাওয়ার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
  • খাদ্য তালিকায় আঁশযুক্ত নরম খাবার ও শাকসব্জি বেশি রাখতে হবে।
  • সঠিক খাদ্যাভাস ও নিয়মিত ব্যায়ামের মাধ্যমে ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
  • রক্তচাপ ১৪০/৯০ এর ওপরে থাকলে কিডনিরোগ হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। সবসময় রক্তচাপ ১৩০/৮০ বা এর কম রাখার চেষ্টা করতে হবে।
  • পরিবারের কারো কিডনি রোগের ইতিহাস থাকলে কিডনি রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে, তাই যাদের পরিবারে এ ধরণের সমস্যা রয়েছে তাদের প্রতি বছর কিডনি পরীক্ষা করানো উচিত।