কোন খাবার কতদিন ফ্রিজে রাখা যায়ঃ

খাসির মাংস২-৩ মাস
গরু, ছাগল, মহিষ, উট ও ভেড়া৩-৪ মাস
মুরগির মাংস১ মাস
মাছ১৫ দিন
কাঁচা ডিম৩-৫ সপ্তাহ
দুধ জাল দিয়ে২ দিন
কাঁচা দুধ১ সপ্তাহ
রান্না করা খাবার২ দিন
শাক কাটা না থাকলে৩-৫ দিন
শসা১ সপ্তাহ
কেক২-৪ দিন
মিষ্টি এবং মিষ্টি জাতীয় খাবার৪-৫ দিন
রান্না করা মাছ ও মাংস৩-৪ দিন
কলিজা১৫ দিন- ১মাস
স্ট্রবেরি৫-৭ দিন
আঙ্গুর৫- ১০ দিন
স্যুপ২-৪ দিন
রান্না করা ভাত৫-৭ দিন
টক দই২-৩ সপ্তাহ
আচার (বোতলের মুখ খোলার পর)১ মাস
মাখন১-৩ মাস
আদা ও রসুন বাটা১ সপ্তাহ
তরমুজ কেটে৩-৪ ঘণ্টা
আদা১৫-২০ দিন

কোন খাবার কখনো ফ্রিজে রাখা যাবে নাঃ

  • আপেল ফ্রিজে রাখলে আপেলের খোসা দ্রুত শুকায়। আপেলের মধ্যে উপস্থিত ট্রিটারপেনয়েড ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। কিন্তু ফ্রিজের তাপমাত্রায় আপেলের কোষের পঁচন ধরে। এধরণের আপেল খেলে বিষক্রিয়া ঘটতে পারে।
  • মধু ফ্রিজে রাখলে এর গুণাগুণ একেবারে নষ্ট হয়ে যায়। সেই সঙ্গে মধুটা এতটাই শক্ত হয়ে যায় যে, খাবার উপযোগী থাকে না। তাই ভুলেও এই খাবারটি ফ্রিজে রাখবেন না।
  • পাঁউরুটি ফ্রিজে রাখবেন না। গুণাগুণ এবং স্বাদ নষ্ট হয়ে যায়।
  • পাকা কলা ফ্রিজে রাখলে কলার কোষের গঠন নষ্ট হয়ে তা বিষাক্ত হতে পারে।
  • বাড়িতে বানানো ফলের জুস কখনো ফ্রিজে রাখা ঠিক নয়।
  • কোনো ধরনের ফল ফ্রিজে রাখা ঠিক নয়। কারণ এতে ফলের পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়।
  • ফ্রিজে বাদাম রাখলে এর উপকারিতা কমে যায়। সেই সঙ্গে বাদামের স্বাদ এবং মচমচে ভাবও নষ্ট হয়ে যেতে শুরু করে।
  • পেঁয়াজ বাটা ফ্রিজে রাখা একেবারেই উচিৎ নয়। কারণ পেঁয়াজ দ্রুত পঁচন ধরে। যে কারণে খাবারে বিষক্রিয়া পর্যন্ত হতে পারে।
  • যে কোনও লেবুতে অ্যাসিডের পরিমাণ বেশি থাকে। ফ্রিজের তাপমাত্রা অত্যন্ত কম থাকায় লেবুর অ্যাসিডিক গুণ নষ্ট হয়। অতিরিক্ত ঠাণ্ডায় সেগুলো খারাপ হয়ে বিষাক্ত হয়ে পড়তে পারে। তাই লেবু কখনও ফ্রিজে রাখবেন না।
  • টমেটো ফ্রিজে রাখবেন না। ঠান্ডা জায়গায় টমেটো রাখলে সব উপকারিতা নষ্ট হয়ে যায়।
  • আলু ফ্রিজে রাখলে এর ভেতরে থাকা শ্বেতসার ভেঙ্গে যায় এবং নরম হয়ে পড়ে। ফলে এর স্বাদ নষ্ট হয়। এ ধরণের আলু খেলে বিষক্রিয়াও হতে পারে।
  • কোনো ধরণের মরিচই ফ্রিজে রাখা ঠিক নয়।
  • সিদ্ধ বা রান্না করা ডিম ফ্রিজে রেখে খাওয়া উচিত নয়।
  • পিঁয়াজ রসুন ফ্রিজে রেখে দিলে এক ধরনেরএসিড তৈরী হয়। যা স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ক্ষতিকর।

জেনে রাখুনঃ

  • ফ্রিজের গায়ের সঙ্গে লাগিয়ে কোনো খাবার রাখবেন না।
  • ফ্রিজে কখনোই গরম খাবার রাখা যাবে না।
  • রান্না করা কোনো খাদ্য ফ্রিজ থেকে বের করার পর আর ফ্রিজে যাতে না রাখা হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
  • ফ্রিজে খাবার খোলা রাখবেন না। ঢাকনা দিয়ে ঢেকে অথবা কন্টেইনার বক্সে রাখতে হবে।
  • ফ্রিজে খাবার সংরক্ষণের ক্ষেত্রে ফ্রিজের তাপমাত্রার দিকে লক্ষ্য রাখবেন। প্রয়োজন অনুযায়ী তাপমাত্রা বাড়িয়ে বা কমিয়ে নিবেন।
  • তাজা শাকসবজি পলিথিনে মুড়ে রাখলে তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায় । তাই শাকসবজি সতেজ রাখতে খবরের কাগজ বা কাগজের প্যাকেটে মুড়ে রাখতে পারেন ।
  • ফ্রিজে সর্বদা এক টুকরো কাটা লেবু রাখুন। ফ্রিজে দুর্গন্ধ হবে না।
  • মাঝে মাঝে বেকিং সোডা মেশানো পানি দিয়ে ফ্রিজ মুছে নিন। এতে এক খাবারের গন্ধ অন্য খাবারে প্রবেশ করবে না। 
  • যেই তাপমাত্রায় মাংস সব সময় বরফ থাকবে সেই তাপমাত্রা সেট করে তারপর মাংস রাখতে হবে।
  • যে খাদ্যগুলো দীর্ঘ সময়  ফ্রিজে থাকবে সেসব খাদ্য রাখার  সময় প্যাকেটের গায়ে তারিখ লিখে রাখুন।
  • মাংস ফ্রিজে রাখার আগে অবশ্যই এর থেকে রক্ত, চর্বি, পানি পরিষ্কার করে নিতে হবে। মাংস অবশ্যই প্লাস্টিকের ব্যাগে বা অ্যালমুনিয়াম ফুয়েলে রাখতে হবে ।
  • বিদ্যুৎ চলে গেলে ফ্রিজ খোলা যাবে না। বাতাস ঢুকলে ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে পারে।
  • মাংসের পুরো পুষ্টিগুণ পেতে ১ মাসের মধ্যেই খেয়ে ফেলতে হবে।
  • সাধারণত রেফ্রিজারেটরে সংরক্ষিত খাদ্যদ্রব্য পঁচে না গেলেও একটা নির্দিষ্ট সময় পরে সবগুলোই স্বাদ এবং উপযোগীতা হারায় এবং এধরণের খাদ্য খেলে স্বাস্থ্যঝুঁকিও বেড়ে যায়।

আরও পড়ুনঃ যে কারণে টমেটো খাবেন।