কোয়েল পাখির ডিম একটি জনপ্রিয় খাদ্য যা তার ছোট আকারের বিপরীতে পুষ্টির দিক থেকে অত্যন্ত সমৃদ্ধ। কোয়েল পাখির ডিম স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। এটি সহজেই খাদ্য তালিকায় যুক্ত করা যায় এবং নিয়মিত খেলে শরীরের বিভিন্ন প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান সরবরাহ করে। এটি সহজেই হজম হয়, পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে এবং স্বাস্থ্যের বিভিন্ন সমস্যার প্রতিরোধে সহায়ক।
প্রতি ১০০ গ্রাম কোয়েল পাখির ডিমে সাধারণত যা থাকে
ক্যালোরি: ১৫০-১৬০ ক্যালোরি
প্রোটিন: ১৩-১৪ গ্রাম
মোট চর্বি: ১১-১২ গ্রাম
সুইটেনড ফ্যাট: ৩-৪ গ্রাম
পলিস্যাচুরেটেড ফ্যাট: ২-৩ গ্রাম
মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট: ৫-৬ গ্রাম
কোলেস্টেরল: ৩৭০-৪০০ মিগ্রা
ভিটামিন এ: ৫০০-৬০০ আইইউ
ভিটামিন বি১২: ২.৭-৩.১ মাইক্রোগ্রাম
ভিটামিন ডি: ৩২-৩৫ আইইউ
ভিটামিন বি২ (রিবোফ্লাভিন): ০.৭-০.৮ মিগ্রা
ভিটামিন বি৫ (প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড): ০.৭-০.৮ মিগ্রা
ফোলেট (ভিটামিন বি৯): ৭০-৯০ মাইক্রোগ্রাম
সেলেনিয়াম: ৩০-৩৫ মাইক্রোগ্রাম
জিঙ্ক: ১.০-১.৫ মিগ্রা
আয়রন: ৩.৬-৪.০ মিগ্রা
ম্যাগনেসিয়াম: ১২-১৫ মিগ্রা
ফসফরাস: ২০০-২৫০ মিগ্রা
পটাশিয়াম: ১৪০-১৬০ মিগ্রা
মেটালস্টাস: ০.৬-০.৮ মিগ্রা
কোয়েল পাখির ডিমের গুণাগুণ
উচ্চ প্রোটিন
কোয়েল পাখির ডিমে উচ্চ পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে যা পেশীর গঠন এবং মেরামতে সহায়ক।
ভিটামিন A
দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে এবং চোখের রোগ যেমন রাতকানা প্রতিরোধে সহায়ক।
ভিটামিন B2 (রিবোফ্লাভিন)
শক্তি উৎপাদন এবং কোষের বৃদ্ধি ও কার্যক্রমে সহায়ক।
ভিটামিন B6
মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা এবং মনোভাব নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।
ভিটামিন B12
লোহিত রক্তকণিকা উৎপাদনে সহায়ক এবং স্নায়ুতন্ত্রের সুস্থতা বজায় রাখে।
ভিটামিন D
ক্যালসিয়ামের শোষণ বাড়ায়, হাড়ের স্বাস্থ্য উন্নত করে।
ভিটামিন E
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা কোষের সুরক্ষায় সহায়ক এবং ত্বকের স্বাস্থ্যে উপকারী।
ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড
হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে এবং মস্তিষ্কের উন্নতিতে সহায়ক।
লোহা
রক্তে হিমোগ্লোবিন উৎপাদনে সহায়ক, যা শরীরে অক্সিজেন পরিবহনে গুরুত্বপূর্ণ।
ফসফরাস
শক্তি উৎপাদন এবং হাড়ের স্বাস্থ্যে সহায়ক।
জিঙ্ক
ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করতে এবং ক্ষত সারানোর প্রক্রিয়ায় সহায়ক।
আরও পড়ুনঃ ক্যান্সার থেকে সুরক্ষা ও হার্ট সুস্থ রাখাসহ নানাগুণ সমৃদ্ধ ফল স্ট্রবেরি
সেলেনিয়াম
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণাবলী, যা শরীরের কোষকে রক্ষা করে।
ম্যাগনেসিয়াম
স্নায়ু এবং পেশীর কার্যক্রমে সহায়ক, মানসিক চাপ কমায়।
পটাশিয়াম
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক, হৃদযন্ত্রের কার্যক্রমে সহায়ক।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট
দেহের ফ্রি র্যাডিক্যাল ক্ষতির বিরুদ্ধে লড়াই করে, বয়সের ছাপ কমায়।
এলার্জির ঝুঁকি কমায়
হাঁস-মুরগির ডিম তুলনায় কম এলার্জি সৃষ্টি করে।
ইমিউন সিস্টেম উন্নত করে
কোয়েল পাখির ডিম সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়ক।
হাড়ের স্বাস্থ্য
ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসে সমৃদ্ধ, হাড় ও দাঁতের গঠনে সহায়ক।
মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা
ভিটামিন ও খনিজের মাধ্যমে মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি।
চর্মরোগের চিকিৎসা
ত্বকের বিভিন্ন সমস্যায় সহায়ক, যেমন একজিমা ও ফুসকুড়ি।
হজমশক্তি বৃদ্ধি
প্রোটিন ও ভিটামিনের মাধ্যমে হজমশক্তির উন্নতি।
শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি
উচ্চ প্রোটিন ও খনিজ শরীরকে শক্তিশালী রাখে।
রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধ
উচ্চ লোহা ও ভিটামিন B12, রক্তের হিমোগ্লোবিন মাত্রা বাড়ায়।
মানসিক চাপ কমানো
ভিটামিন B6 ও ম্যাগনেসিয়াম মানসিক চাপ কমাতে সহায়ক।
বৃদ্ধির জন্য উপকারী
শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে সহায়ক।
হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখে
বিভিন্ন ভিটামিন ও খনিজ হরমোনের ভারসাম্য রক্ষায় সহায়ক।
হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য
ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ও ভিটামিন E হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক।
বিরূপ প্রভাবের ঝুঁকি কমায়
কোয়েল পাখির ডিম কম এলার্জি সৃষ্টি করে, বিশেষ করে শিশুদের জন্য।
ত্বকের উন্নতি
ভিটামিন E ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সহায়ক।
নখ ও চুলের স্বাস্থ্য
প্রোটিন ও খনিজসমূহ নখ ও চুলের গঠন ও বৃদ্ধি উন্নত করে।
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ
কম কোলেস্টেরলযুক্ত, যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক।
বিষাক্ত পদার্থের নিরসন
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ, যা দেহের বিষাক্ত পদার্থ নিরসনে সহায়ক।
শক্তি বাড়ানো
প্রোটিন এবং ভিটামিন সমৃদ্ধ যা দৈনন্দিন কাজের শক্তি বাড়াতে সহায়ক।
হজমের সুবিধা
হজমে সহায়ক এনজাইম উত্পাদনে সহায়ক।
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি
ত্বকের উজ্জ্বলতা এবং মসৃণতা বাড়ায়।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি
ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করতে সহায়ক।
মেটাবোলিজম উন্নতি
শরীরের মেটাবোলিজম প্রক্রিয়া উন্নত করে।
মাংসপেশির গঠন
প্রোটিন সমৃদ্ধ হওয়ায় মাংসপেশির গঠন ও বৃদ্ধি উন্নত করে।
উপকারী চর্বি
স্বাস্থ্যকর চর্বি সরবরাহ করে যা শরীরের বিভিন্ন কার্যক্রমে সহায়ক।
স্মৃতিশক্তি উন্নতি
মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা উন্নত করে, স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সহায়ক।