টমেটো মজাদার ও পুষ্টিকর সবজি। আমাদের দেশে প্রায় সারা বছর টমেটো পাওয়া যায়। টমেটোতে আমিষ, চর্বি, ফসফরাস, ক্যালসিয়াম, শর্করা, ম্যাঙ্গানিজ, ক্ষার, ভিটামিন-এ, ভিটামিন-বি৬, ভিটামিন-সি, ভিটামিন-কে, লৌহ ও বিটা-ক্যারোটিন ইত্যাদি যথেষ্ট পরিমাণে রয়েছে। টমেটো খেলে রক্ত কণিকা বৃদ্ধি পায় এবং শরীরের ফ্যাকাশে ভাব ও রক্ত স্বল্পতা দূর হয়। আঙ্গুর, আপেল, আনারস, মাল্টা, কমলা প্রভৃতি দামী ফলের চেয়ে টমেটোতে রক্ত তৈরির ক্ষমতা অনেক বেশি।
টমেটো ক্যান্সার প্রতিরোধ করেঃ
টমেটোতে থাকা লাইকোপেন ফুসফুস, পাকস্থলী, অগ্ন্যাশয়, কোলন, স্তন, মূত্রাশয়, প্রোস্টেট ইত্যাদি অঙ্গের ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে।
হার্টের জন্য উপকারিঃ
নিয়মিত টমেটো খেলে হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে যায়।
বয়সের ছাপ দূর করেঃ
টমেটো খেলে ও রস মুখে লাগালে বয়সের ছাপ দূর হয়ে যায়।
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করেঃ
টমেটোতে থাকা লাইকোপেন উচ্চ রক্তচাপ কমিয়ে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে ও রক্তকে জমাট বেঁধে যাওয়া থেকে রক্ষা করে। প্রতিদিন সকালে ১/২ টি করে টমেটো খেলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
হাড় শক্ত হয়ঃ
টমেটোতে ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন-কে থাকায় হাড় শক্ত হয়। বুড়ো বয়সে হওয়া অস্টিওপোরোসিসের মতো রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।
দৃষ্টিশক্তির উন্নতি হয়ঃ
টমেটোতে রয়েছে ভিটামিন এ, থিয়ামিন, ফ্লেবোনয়েড, ফোলেট ও নিয়াসিন যা শরীরে প্রবেশ করে দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটায়। ব্যাকটেরিয়ার কারণে চোখের যাতে কোনো ক্ষতি না হয়, তা সুনিশ্চিত করে।
হজম উন্নতি ঘটেঃ
পাকস্থলির কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে। তাই হজম সংক্রান্ত যে কোনো সমস্যার দ্রুত সমাধান হয়।
মাড়ি থেকে রক্তপড়া বন্ধ করেঃ
অনেক সময় ভিটামিন সি এর অভাবে মাড়ি থেকে রক্তপাত হতে থাকে। প্রতিদিন ১/২ টি টমেটো খেলে এ ধরণের রক্তপাত বন্ধ হয়ে যাবে।
জ্বর নিরাময়ে সহায়কঃ
গায়ের তাপমাত্রা নানান কারণে বাড়তে পারে। জ্বর হলে টমেটো খেলে উপকার পাবেন।
হার্ট ও বুকের ব্যথা দূর হয়ঃ
অর্জুন গাছের রসের সঙ্গে টমেটোর রস মিশিয়ে প্রতিদিন খেলে হার্ট ও বুকের ব্যথা কমে যায়।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে রাখেঃ
ডায়াবেটিসের জন্য টমেটো অনেক উপকারী। নিয়মিত খেলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
ত্বকের উজ্জলতা বৃদ্ধি হয়ঃ
নিয়মিত টমেটো খেলে ত্বক সুস্থ থাকে। শরীরে ভাঁজ পড়া ও ত্বক কুঁচকে যাওয়া রোধ করে। সূর্যের ক্ষতি থেকে ত্বককে রক্ষা করে এবং ত্বকের উজ্জলতা বৃদ্ধি হয়।
সর্দি ও কাশি প্রতিরোধ করেঃ
যারা নিয়মিত সর্দি-কাশিতে ভোগেন তারা ১/২ টি টমেটো নিয়ে অল্প চিনি বা লবণ দিয়ে পাত্রে গরম করে স্যুপ তৈরি করে খেতে পারেন।
অ্যাজমা নিয়ন্ত্রণ রাখেঃ
টমেটোতে থাকা ভিটামিন এ এবং লাইকোপেন অ্যাজমা নিয়ন্ত্রণে বেশ কার্যকর। নিয়মিত খেয়ে এ রোগ নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেন।
চোখের নিচে কালো দাগ দূর করেঃ
টমেটোকে থেঁতো করে মুখে লাগিয়ে ১০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। চোখের নিচে কালো দাগ, রোদে পোড়া ভাব ও বলিরেখা দূর করে।
কিডনিতে পাথর হওয়া রোধ করেঃ
বীজসহ টমেটো খেলে কিডনিতে পাথর হওয়ার আশঙ্কা একেবারে শূন্যে এসে দাঁড়ায়।
ক্ষত রোগ নিরাময়ে কার্যকরঃ
অনেকের মুখগহ্বরে মাঝে মাঝে ক্ষতের সৃষ্টি হয়। এই সমস্যা দূর করতে নিয়মিত টমেটোর রস খেতে পারেন।
ওজন কমাতে সাহায্য করেঃ
এন্টি অক্সিডেন্ট ছাড়া টমেটোতে রয়েছে ফাইবার ও খুবই কম ক্যালোরি। তাই টমেটো কোলেস্টরল মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার মাধ্যমে শরীরের বাড়তি মেদ কমাতে সাহায্য করে।
রুচি বাড়াতে সহায়কঃ
অরুচি দূর করতে টমেটোকে টুকরো টুকরো করে কেটে শুকনো আদার গুঁড়ো মিশিয়ে খেলে উপকার পাবেন।
ধূমপান ছাড়তে টমেটোঃ
যারা ধূমপান ছাড়তে পারছেন না, তারা দিনে ২/৩ টি কাঁচা টমেটো খান। ভালো ফল পাবেন।
চর্মরোগ প্রতিরোধ করেঃ
যারা চুলকানি রোগে ভোগেন তারা নিয়মিত টমেটোর সালাদ অথবা রস খেলে উপকার পাবেন।
বাচ্চাদের জন্য উপকারিঃ
ছোট বাচ্চাদেরকে দিনে ২/৩ বার টমেটোর রস খাওয়ালে তারা সবল হয়ে গড়ে উঠে এবং নিরোগ থাকে।
পুরানো ব্যাথা সারিয়ে তোলেঃ
যারা পুরানো কোনো ব্যথায় ভোগেন তারা নিয়মিত এ ফলটি খেতে পারেন। টমেটোর এমন ধরণের গুনাগুণ রয়েছে যা দীর্ঘদিনের ব্যাথা দূর করে।
চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেঃ
টমাটোতে ভিটামিন-এ থাকার কারণে এটি চুল ভালো রাখে এবং চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। তাই চুল ভালো রাখতে টমেটোর বিকল্প কমই আছে।
খুশকি দূর করেঃ
খুশকি রোধে টমেটো ভালো ঔষধ। খুশকি ও মাথার চুলকানি সারাতে অনায়াসে এটি ব্যবহার করতে পারেন।
আরও পড়ুনঃ পুষ্টিগুণে ভরা আনারসের উপকারিতা ও অপকারিতা।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ
টমেটোতে থাকা ক্যারোটিনয়েড শরীরের যে কোন ধরণের রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
মূত্রাশয়ের সংক্রামণ রোধ করেঃ
নিয়মিত টমেটো খেলে মূত্রাশয়ের সংক্রামণ রোধ হয় এবং পাথর তৈরি হয় না।
সর্দি ও কাশি উপশম হয়ঃ
টমেটোর রস ও সালাদ সর্দি এবং কাশি নিরাময়ে অনেক কার্যকরি। যারা নিয়মিত এ ধরণের রোগ হয় তারা নিয়ম করে টমেটোর রস ও সালাদ খেতে পারেন।
Good day! I simply wish to give an enormous thumbs up for the good data you have here on this post. I can be coming again to your weblog for extra soon. Fayina Heindrick Klayman