আমাদের শরীরে ক্যালসিয়াম ও পটাশিয়ামের প্রয়োজন হলে এবং নানা ধরণের অসুখে চিকিৎসকগণ ডাবের পানি পান করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীদের পানি ও খনিজ পদার্থের অভাব হলে এই ঘাটতি অনেকটাই পূরণ করতে পারে ডাবের পানি। তবে উপকারের পাশাপাশি ডাবে অনেক ক্ষতিকর দিক রয়েছে যা আমাদের জেনে রাখা জরুরী।
কিডনি রোগীদের ডাবের পানি পান করা ঠিক নয়ঃ
কিডনি অকার্যকর হলে অতিরিক্ত পটাশিয়াম শরীর থেকে বের হয় না। তাই দেহে থাকা পটাশিয়াম ও ডাবের পানির পটাশিয়াম একত্র হয়ে কিডনি অকার্যকর করে দেয়। এজন্য কিডনি রোগ হলে ডাব এড়িয়ে চলুন।
যারা ওজন কমাতে চানঃ
ডাবের পানিতে ক্যালোরির পরিমাণ বেশি থাকায় ওজন বেড়ে যায়। তাই যারা ওজন কমাতে চান তারা ডাব থেকে বিরত থাকতে হবে।
যাদের ডায়বেটিস রয়েছেঃ
ডাবের পানিতে চিনির পরিমাণ কম থাকলেও কার্বহাইড্রেট ও ক্যালোরি অধিক মাত্রায় থাকার কারণে রক্তে শর্করা বেড়ে যায়। তাই ডায়বেটিস থাকলে ডাব খাওয়া যাবে না।
উচ্চ রক্তচাপ থাকলেঃ
ডাবের পানিতে প্রচুর পরিমাণে সোডিয়াম থাকায় রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয়। তাই উচ্চ রক্তচাপের রোগীরা ডাব এড়িয়ে চলা উচিত।
পুষ্টি উপাদান কমে যায়ঃ
অতিরিক্ত ডাবের পানি পান করলে প্রসাবের সাথে শরীর থেকে পুষ্টিকর উপাদান বের হয়ে যায়। যার ফলে ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্যহীনতা তৈরি হয়।
এলার্জি হতে পারেঃ
ডাব খেলে অনেকের শরীরের র্যাশ হয়, হাঁচি আসে, ত্বক লাল হয় ও চোখে পানি আসে। যাদের এ ধরণের এলার্জিক সমস্যা হয় তারা ডাব এড়িয়ে চলা উত্তম।
আরও পড়ুনঃ টমেটো কেন খাবেন ? জেনে নিন এর বিস্ময়কর উপকারিতা।