আমে ফরমালিন দেয়া থাকলে মিষ্টি গন্ধ পাওয়া যাবে না।
আম নাকের কাছে নিয়ে ভালো করে শুঁকে নিন। গাছ পাকা আমে অবশ্যই বোটার কাছে ঘ্রাণ থাকবে। 
গাছপাকা হলে এসব আমের ত্বকে বিচ্ছিরি দাগ পড়ে। রাসায়নিক দিয়ে পাকানো হলে আমের ত্বক হয় মসৃণ ও সুন্দর।
ফরমালিন যুক্ত আমে মাছি বসবে না।
আম মুখে দেওয়ার পর যদি দেখেন যে কোনো গ্রাণ নেই কিংবা আমে টক বা মিষ্টি কোনো স্বাদ নেই, বুঝবেন সে আমে ফরমালিন দেওয়া।
আমের গায়ে সাধারণত এক ধরনের সাদা পাউডারের মতো থাকে। যা পানিতে বা ফরমালিনে চুবালে চলে যায় । এটাও খেয়াল রাখুন।
আমে রাসায়নিকে চুবালে ঝকঝকে, সুন্দর ও পরিস্কার হয়। কিন্তু গাছপাকা আমের গায়ে সাদাটে ভাব থাকে।
প্রাকৃতিকভাবে পাকা আম কাটলে এর ভেতরের শাসটি হবে লালচে হলুদ রঙের কিন্তু ফরমালিন যুক্ত আমের ভেতরের অংশটি হবে হালকা অথবা গাঢ় হলুদ রঙের।
গাছে পাকা আমে রস বেশি থাকে এবং খুব মিষ্টি হয়। কিন্তু ফরমালিন যুক্ত আমে রস অনেক কম থাকে।
১০ফমালিন মুক্ত আম কোথাও রাখলে সুগ্রাণ সব দিকে ছড়িয়ে পড়বে।
১১গাছপাকা আমের ত্বকের রঙে ভিন্নতা থাকবে। গোঁড়ার দিকে গাঢ় রঙ হবে, সেটাই স্বাভাবিক। কারবাইড দেওয়া আমের আগাগোড়া হলদেটে হয়ে যায়, কখনো কখনো বেশি দেওয়া হলে সাদাটেও হয়ে যায়।

এরপরও যদি  কেনা আম নিয়ে কোনো প্রকার সন্দেহ থাকে তবে ডুবো পানিতে ১/২ ফোটা ভিনেগার মিশিয়ে আমগুলি ১ ঘণ্টা রেখে দিনে, এতে করে ৯০% পর্যন্ত বিষমুক্ত করা সম্ভব।

আরও পড়ুন, খাঁটি মধু চেনার সহজ কৌশল।