Spread the love

উন্নয়নশীল দেশের অর্থনীতির চালিকা গতিশীল করার জন্য উৎপাদনমুখী ব্যবসার বিকল্প নেই যদিও সেটা হয় ক্ষুদ্র পরিসরে। সঠিক পরিকল্পনা মত দক্ষতা, শ্রম ও সৃজনশীলতা দিয়ে ব্যবসা শুরু করলে একদিন আপনি অবশ্যই সফল হবেন। আজ আমরা অল্প পুঁজিতে লাভজনক কিছু ক্ষুদ্র ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে আলোচনা করব।

পটেটো চিপস্‌ তৈরি করাঃ

বাজারে চিপস্‌ এর অনেক চাহিদা রয়েছে। আপনি বাজার থেকে চিপস্‌ তৈরির মালামাল ক্রয় করে ভেজে এলাকার দোকান ও ফেরিওয়ালাদের কাছে সরবরাহ করতে পারেন। এতে মাসে অনেক টাকা আয় করা সম্ভব।

ফাস্টফুড ডেলিভারি দেওয়াঃ

গুণগতমাণ ও স্বাদের দিকে বিবেচনা করে ফাস্টফুডের অর্ডার নিয়ে দোকানে, বাসায় ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ডেলিভারি দেয়া শুরু করুন। আপনি এগুলো ফাস্টফুডের পাইকারি দোকান থেকে কিনে নিতে পারেন অথবা নতুন নতুন রেসিপি আইটেম নিজে তৈরি করে বাজারজাত করতে পারেন অনায়াসে।

মোবাইল রিচার্জঃ

বর্তমানে প্রায় সকলের হাতে হাতে মোবাইল। যে কোনো সময় তাদের মোবাইল রিচার্জ প্রয়োজন হতে পারে।  আপনি কম টাকায় ছোট্ট একটি দোকানে বসে মোবাইল রিচার্জের ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

মোবাইল রিপেয়ারিং করাঃ

মোবাইল রিপেয়ারিং এর কাজ করতে বেশি পুঁজির প্রয়োজন হয় না। আপনি Youtube এ ভিডিও দেখে ফ্রিতে মোবাইল রিপেয়ারিং এর কাজ শিখে নিতে পারেন। আপনার যদি ভালো কাজ জানা থাকে মানুষ আপনার কাছে আসবেই।

নুডুলস তৈরিঃ

অভিজ্ঞ লোকের সাথে পরামর্শ করে অথবা ইন্টারনেট থেকে ধারণা নিয়ে নুডুলস তৈরির ব্যবসা শুরু করুন। বর্তমানে সকল পরিবারে নুডুলসের অনেক চাহিদা রয়েছে। তবে নুডুলস তৈরির জন্য আপনার সেমি অটোমেটিক মেশিনের প্রয়োজন হবে।

টিস্যু ব্যাগ তৈরিঃ

বর্তমানে পলিথিনের বিকল্প হিসেবে টিস্যু ব্যাগের প্রচলন ব্যপক ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আপনি চাইলে টিস্যু ব্যাগ তৈরির ব্যবসা শুরু করতে পারেন। যারা এ ধরণের ব্যবসা করছে তাদের কাছ থেকে সঠিক ধারণা নিয়ে ভালো ভাবে আগাতে পারেন।

কাগজের ঠোঙা তৈরি করাঃ

পুরনো খবরের কাগজ দিয়ে ঠোঙা  তৈরি করে বিক্রি করতে পারেন। বাজারে কাগজের ঠোঙা প্রচুর চাহিদা রয়েছ। ঠোঙা তৈরি করে পাইকারী ও খুরচা বিক্রির মাধ্যমে অনেক টাকা ইনকাম করা সম্ভব।

মৌমাছি পালন করে মধু উৎপাদনঃ

আমাদের দেশে মধু উৎপাদন জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে। আপনি ইচ্ছে করলে সেখান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে মৌমাছি পালন করে মধু উৎপাদনের ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এক্ষেত্রে প্রধান পুঁজি হবে আপনার অভিজ্ঞতা। আপনার অভিজ্ঞতা যত বৃদ্ধি পাবে ততই এই ব্যবসায় এগিয়ে যেতে সক্ষম হবেন।

চানাচুর, বাদাম ভাজা ও ডালভাজার ব্যবসাঃ

আপনি চাইলে অনলাইন থেকে অথবা কারো সহযোগিতা নিয়ে চানাচুর বানানো শিখে নিতে পারেন। চানাচুরের পাশাপাশি বাদাম ভাজা ও ডালভাজা ইত্যাদি তৈরি করে প্যাকেটজাত করার মাধ্যমে পাইকারি ও খুরচা বিক্রি করতে পারেন।

পোশাক বিক্রিঃ

সাবাই তার রুচি অনুযায়ী নতুন ডিজাইনের পোশাক কিনতে পছন্দ করে। আপনি ক্রেতার চাহিদার দিকে লক্ষ্য রেখে পাইকারি মার্কেট থেকে পোশাক কিনে দোকানঘর ভাড়া করা সম্ভব না হলে অনলাইনেও বিক্রি করতে পারেন। পোশাক গুলো হতে পারে মহিলাদের লোন এবং বুটিকের থ্রিপিজ, টুপিজ, ওড়না, বোরকা, খিমার ও আবায়া ইত্যাদি।

পুরনো জিনিসের ব্যবসাঃ

অনেকে প্রয়জনীয় জিনিস খুব কম দামে বিক্রি করে দিতে চান। আপনি সেগুলো ক্রয় করে বেশি দামে বিক্রি করতে পারেন। এগুলো হতে পারে পুরনো ল্যাপটপ, মোবাইল এবং অন্যান্য জিনিসপত্র।

ফুলের দোকানঃ

জন্মদিন, বিয়ে, ফুল দিয়ে ঘর সাজানো ও ফুলের মালা তৈরি করতে ফুলের অনেক ব্যবহার হয়। যে ফুল গুলো চাহিদা অনেক বেশি, আপনি সেই ফুল সংগ্রহ করে  পছন্দনীয় স্থানে ছোট্ট একটি দোকান নিয়ে ফুলের ব্যবসায় আগাতে পারেন। ফুল বিক্রি করেও আপনার অনেক টাকা আয় করা সম্ভব।

গুঁড়ো মশলা প্যাকেটজাত করে বিক্রিঃ

বর্তমানে সবাই মশলা বাটার ঝামেলা এড়াতে চায়। তাই গুঁড়ো মশলার চাহিদা অনেক। আপনি মশলা কিনে গুঁড়ো করে তা প্যাকেটজাত করে পাইকারি ও খুরচা বিক্রি করতে পারেন।

বিস্কুট তৈরি করাঃ

আপনি আপনার ঘরেই বিস্কুট তৈরি করে বাজারে বিক্রি করতে পারেন। তবে কাঁচামালের পাশাপাশি একটি ওভেনের প্রয়োজন হবে।

মরিচ ও হলুদের গুঁড়োর ব্যবসাঃ

সবসময় বাজারে মরিচ ও হলুদ গুঁড়োর চাহিদা থাকে। আপনি বাজার থেকে মরিচ ও হলুদ কিনে মেশিনে গুঁড়ো করে প্যাকেট করার পর এলাকার মুদি দোকানে পাইকারি বিক্রি করে দিন।

কালোজিরার তেল তৈরিঃ

কালোজিরার তেল সকল রোগের মহৌষধ হিসেবে কাজ করে। আপনি কালোজিরার তেল তৈরি করে ফার্মেসিতে বিক্রি করতে পারেন অনায়াসে। এটি একটি সুন্দর ও লাভজনক ব্যবসা।

মিষ্টি ও জুতার বক্স তৈরিঃ

বাজারে মিষ্টি ও জুতার বক্সের যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। আপনি এ ধরণের বক্স তৈরি করে দোকান গুলোতে সরবরাহ করে স্বল্প পুঁজিতে অনেক আয় করতে পারেন।

নার্সারির মাধ্যমে আয়ঃ

উন্নতমানের গাছের বীজ সংগ্রহ করে নার্সারি তৈরি করে প্রচুর টাকা আয় করতে পারেন।

ফলের দোকানঃ

কম টাকায় ছোট একটি দোকান নিয়ে অথবা ফুটপাতে মৌসুমী ফলের ব্যবসা শুরু করতে পারেন। যেমন- আম, আনারস, কমলা, কলা, আঙ্গুর, ডালিম, লিচু, পেঁপে, পেয়ারা ও খেজুর ইত্যাদি। তবে এক্ষেত্রে ব্যবসার আইডিয়া থাকা জরুরী।

———————আরও পড়ুনঃ অনলাইন কেনাকাটায় প্রতারণা এড়াতে যে বিষয় গুলো সতর্ক থাকা জরুরী।

বিকাশ, রকেট ও নগদ এ লেনদেনঃ

আপনি চাইলে বিকাশ, রকেট ও নগদ এর মাধ্যমে টাকা লেনদেন করে মাসে অনেক টাকা আয় করতে পারেন। অল্প পুঁজিতে এটি একটি লাভজনক ব্যবসা।

মোমবাতি তৈরিঃ

বর্তমানে মোমবাতি জ্বালানো ছাড়াও শোপিস হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। নানা ডিজাইনের মোমবাতির কদর দিনদিন বাড়ছে। অনলাইন থেকে ধারণা নিয়ে মোমবাতি বানানো শুরু করতে পারেন। তবে কাঁচামাল সংগ্রহ করারা পর ডাইস বা ছাঁচের প্রয়োজন হবে।

উপহার সামগ্রীর দোকানঃ

আধুনিক যুগে মানুষ নিত্য নতুন জিনিস খুঁজে বেড়ায় আর এটির মধ্যে একটি হলো উপহার সামগ্রী। অনেকেই উপহার সামগ্রী শুধু উপহার দেওয়ার জন্য কিনে না, ঘর সাজানোর জন্যও কিনে থাকে। তাই আপনি স্থান পছন্দ করে মানসম্মত উপহার সামগ্রী পাইকারি ক্রয় করে খুরচা বিক্রি করতে পারে।

কোয়েল পাখি পালনঃ

আমাদের দেশে অনেকেই কোয়েল পাখির খামাড় দিয়ে স্বাবলম্বী হয়েছ। কোয়েল পাখির মাংস ও ডিমে রয়েছে অনেক পুষ্টি। বাজারে এ পাখির অনেক চাহিদা রয়েছে। আপনি স্বল্প পুঁজিতে বাণিজ্যিক ভাবে কোয়েল পাখির ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

চা পাতার ব্যবসাঃ

আপনি কম দামে চা পাতা কিনে প্যাকেট করে গ্রামের দোকান গুলোতে খুরচা ও পাইকারি বিক্রি করতে পারেন।

কৃষি পণ্য বিক্রিঃ

গ্রামের ফসলের মাঠ থেকে কৃষি পণ্য ক্রয় করে আপনার নিকটের শহরে পাইকারি ও খুরচা বিক্রি করতে পারেন।

জ্যাম ও জেলির ব্যবসাঃ

বর্তমান সময়ে বাজারে জ্যাম ও জেলির অনেক চাহিদা। আপনি ঘরে জ্যাম ও জেলি তৈরি করে বৈয়মে ভর্তি করে বাজারজাত করতে পারেন। আপনার পুঁজি বাড়লে এগুলো তৈরির জন্য অটোমেটিক মেশিন কিনে নিতে পারেন।


Spread the love