তরমুজ গ্রীষ্মকালীন সুস্বাদু ফল। এতে প্রায় ৯২% পানি, ৬% চিনি এবং ২% অন্যান্য উপাদান রয়েছে। তরমুজে খুব সামান্য পরিমাণে ক্যালোরি থাকায় শরীরের ওজন বৃদ্ধি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। ফলটি নিয়মিত খেলে প্রোস্টেট ক্যান্সার, ফুসফুসের ক্যান্সার, ব্রেস্ট ক্যান্সার ও কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি থাকে না। গবেষণায় দেখা গেছে , তরমুজে থাকা উচ্চ পরিমাণে সিট্রুলিন মানব দেহের ধমনির কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখে এবং রক্তচাপ কমিয়ে দেয়। কিন্তু এ পুষ্টি সমৃদ্ধ ফলটি কেনার সময় আমাদের অনেক সমস্যায় পড়তে হয়। আসুন আমরা ভালো তরমুজ কেনার কৌশলগুলো জেনে নিই।

ভালো তরমুজ চিনবেন যেভাবেঃ

  • তরমুজ হাতে নিলে যদি ভারী মনে হয়, তাহলে বুঝবেন এটি রসালো ও মিষ্টি।
  • ভালো ও পাকা তরমুজের গায়ে সোনালী হলুদ দাগ থাকে।
  • তরমুজের গায়ে টোকা মেরে দেখুন, যদি দেখেন ভারী ও গভীর শব্দ হয় তাহলে বুঝবেন তরমুজ পাকা। আর যদি ফাঁপা শব্দ হয় তাহলে তরমুজ এখনো পাকেনি।
  • পাকা তরমুজের গা সমান ও সব দিক থেকে একই রকম থাকে এবং কোনো দাগ থাকবে না।
  • তরমুজের মাথার দিকে খেয়াল করুন, যদি দেখেন হলুদ রঙ ধরেছে তাহলে বুঝবেন এটি পাকা।

আরও পড়ুনঃ খেজুর যেসব রগের মহৌষধ।

  • পাকা তরমুজ সাধারণত গাঢ় সবুজ ও কালচে রঙের হয়। যদি হালকা সবুজ ও চকচকে রঙ হয়, তাহলে বুঝবেন তরমুজ এখনো পাকেনি।
  • খুব বড় বা খুব ছোট তরমুজ না কিনে মাঝারি আকারের ভারী দেখে কেনাই ভালো।
  • সাধারণত ভারী তরমুজ পাকা বেশি হয়, তাই কেনার সময় এই ব্যাপারটি খেয়াল রাখুন।

  • বেশি লাল তরমুজ না কিনাই ভালো, কারণ রাসায়নিক দ্রব্য মেশানোর ফলে তরমুজ অতিরিক্ত লাল হতে পারে।
  • তরমুজের যে অংশ মাটির সংস্পর্শে থাকে সেই অংশ যদি গাঢ় হলুদ রঙ হয়, তাহলে বুঝবেন তরমুজ পাকা।
  • লম্বাটে আকারের তরমুজে রস বেশি হয়, আর গোলাকার তরমুজ মিষ্টি বেশি হয়।
  • বোটা শুকনো হলে বুঝবেন তরমুজ পাকা।
  • যদি তরমুজ পুরো সমান হয়, বুঝবেন পাকা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
  • তরমুজে ফরমালি মিশানো হলে বাইরে থেকে বুঝা যায় না। তাই তরমুজ কিনে আনার পর ৪-৫ ঘণ্টা সামান্য লবন মিশানো পানিতে ডুবিয়ে রাখলে ভেতরের ফরমালিনের ক্রিয়া কমে যাবে।