Spread the love

Green Tea– এর উৎপত্তি হয় চীনে। মূলত এটি চীনের একটি ঐতিহ্যবাহী পানীয়। স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের লক্ষ্যে প্রচুর মানুষ গ্রীন টি পান করে। পানীয় হিসেবে এর বিশেষ গুনাগুনের জন্য পরবর্তীতে এটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে। এটি বিশ্বের সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর পানীয়র মধ্যে একটি, যাতে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। সাধারণ চায়ের থেকে গ্রীন টি শরীরের জন্য কয়েক গুণ উপকারী হেলথ ড্রিংক। এটি গরম, ঠান্ডা ও গুঁড়ো আকারে খাওয়া যায়। গ্রীন টিতে থাকা উপকারী গুণ গুলোর জন্য এখন বিখ্যাত বিউটি ব্র্যান্ড গুলো তাদের পণ্যে গ্রীন টির উপাদান সংযোজন করছে।

গ্রীন টি কী ?

গ্রীন টি বলতে আমরা অনেকে এর সবুজ রংকে বুঝি। কিন্তু আসলেই তা নয়। সাধারণ চায়ের ক্ষেত্রে যেমন অনেক প্রক্রিয়াজাত করে একেক দানাদার আকার দেওয়া হয়, তবে গ্রীন টির ক্ষেত্রে বেশিরভাগই তা করা হয় না। এটি প্রক্রিয়াজাত করণের ধরন সাধারণ চায়ের চেয়ে আলাদা।

গ্রীন টি ও সাধারণ চা-এর মধ্যে পার্থক্যঃ

  • গ্রীন টিতে কেফেইন এর পরিমাণ কম আর সাধারণ চা এর কেফেইন এর পরিমাণ বেশি থাকে। গ্রীন টিতে সাধারানত ২০ থেকে ৪৫ মিলিগ্রাম ক্যাফেইন থাকে কিন্ত ব্ল্যাক টি তে থাকে প্রায় ৫০ মিলিগ্রাম ক্যাফেইন ।
  • সাধারণ চাতে কিছু পরিমাণ এন্টি অক্সিডেন্ট থাকে কিন্তু গ্রীন টিতে খুব ভালো পরিমানে এন্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে যার সাস্থ্য উপকারিতা অনেক বেশি।
  • সাধারণ চা পাতাকে বিশেষ প্রক্রিয়াজাত করে এটি তৈরি করা হয়।

কেন আমাদের গ্রীন টি খাওয়া প্রয়োজনঃ

  • এটি ক্যানসারের ঝুকি কমাতে সাহায্য করে। গ্রীন টিতে বিদ্যমান অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভিটামিন সি এর চেয়ে ১০০ গুন এবং ভিটামিন ই এর চেয়ে ২৪ গুন বেশি কার্যকরী, যা শরীরের কোষ কে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে।
  • একদিনে গ্রীন টি ৭০ ক্যালরি বার্নে সহায়তা করে যা প্রায় ২০ মিনিট হাটার সমান ক্যালরি।
  • ক্ষতিকর আল্ট্রা-ভিওলেট রশ্মী থেকে রক্ষা করে।
  • জাপানের একটি গবেষনায় দেখা গেছে, গ্রীন টির epigallocatechin-3-gallate (EGCG), সুস্থ্য কোষের সঙ্গে HIV এর সংযোজন ব্যহত করে।
  • এটি পান করলে রক্তের প্রবাহ ভালো হয় এবং ধমনী শিথিল হয়।
  • গ্রীন টিতে বিদ্যমান অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট  ও পলিফেনল  তারুণ্য ধরে রাখতে সহায়তা করে।
  • ওজন কমে, ওবেসিটিও দূর হয়। এটি হজমে সহায়ক তাই শরীরে থাকা ক্ষতিকর চর্বি পুড়িয়ে ফেলে।

  • রক্তে কোলেস্টোরেলের মাত্রা কমায়।
  • এটি লিভার ফেইলিওর এর রোগীদের লিভার ট্রান্সপ্লান্টেশন এর পরের জটিলতা রোধ করে।
  • এতে উপস্থিত অ‌্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুলো ক্যান্সারের কোষ বিভাজিত হতে বাধাঁ প্রদান করে। ফলে শরীরে ক্ষতিকারক ভাইরাস দ্বারা সংক্রমণজনিত ক্যান্সারকে দ্রুত প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
  • এতে অবস্থিত ক্যাফিন ক্লান্তি দমন করে, যা আপনার মেজাজকে উন্নত করতে পারে।
  • গ্রীন টিতে দুটি সিএনরজিস্টিক উপাদান রয়েছে – ক্যাফিন এবং এল-থিনাইন যা সামগ্রিক মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করতে একত্রে কাজ করে।
  • এ্যাজমা প্রতিরোধ করে এবং এলার্জি কমায়।
  • বিজ্ঞানীরা মনে করেন, গ্রীন টি শরীরের প্রতিটি শিরায় কাজ করে। ফলে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক থাকে। তাই কোনো কারণে রক্ত চাপ পরিবর্তন হলেও কোন ধরনের ক্ষতি করে না। তাছাড়া এই চা রক্ত জমাট বাধতে দেয় না। ফলে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার সম্ভবনা অনেক কমে যায়।

  • কিডনি রোগের জন্য অনেক উপকারী। এটি ইমিউন সিস্টেমকে আরো শক্তিশালী করে৷ তবে এই চা নিয়মিত পান করতে হবে৷
  • গ্রীন টির মধ্যে রয়েছে ভিটামিন এ, বি, বি৫, ডি, ই, সি, ই, এইচ সেলেনিয়াম, ক্রোমিয়াম, জিংক, ক্যাফেইন ও মেঙ্গানিজ, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ছাড়াও বিভিন্ন মিনারেল যা প্রতিটি মানুষের শরীরেই প্রয়োজন
  • গ্রীন টি ডায়াবেটিসের জন্য উপকারী।
  • নিয়মিত গ্রীন টি পান মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও এটি ওরাল ব্যাক্টেরিয়া ধ্বংস করে ডেন্টাল ক্যাভিটিস প্রতিরোধ করে।
  • প্রাকৃতিকভাবেই ‘থিয়ানিন’ নামের অ্যামাইনো এসিড চা পাতায় পাওয়া যায়। এই উপাদান দুশ্চিন্তা ও হতাশা কমাতে সাহায্য করে। তাই নিয়মিত গ্রীন টি পান করলে অবসাদ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
  • এনজিওটেনসিন নামক যে উপাদানটি হাই প্রেশারের জন্য দায়ী, গ্রীন টি তা নিয়ন্ত্রন করে প্রেসার নিয়ন্ত্রনে রাখে।
  • পোকামাকড় কামড়ালে যদি ওই স্থান চুলকায় ও ফুলে যায় তাহলে সবুজ চায়ের পাতা দিয়ে ঢেকে দিলে আরাম বোধ হয়।
  • Rheumatoid Arthritis এর এটি চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। এটি জয়েন্ট এর Cartilage ক্ষয়কারী এনজাইম কে রোধ করে জয়েন্টের ব্যথা প্রতিরোধ করে।
  • এটি এন্টি-এজিং ক্ষমতা সম্পন্ন।
  • এর লিকার দাঁতের ক্ষয়রোধ ও মাড়ি শক্ত করে।

  • খাদ্যনালীর ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। এছাড়াও ভালো কোষগুলোর কোনো ক্ষতি না করে সার্বিকভাবে ক্যান্সারের কোষ নির্মূল করে।
  • কাটা জায়গায় গ্রীন টির লিকার লাগালে রক্ত পড়া বন্ধ হয়।
  • গ্রীন টিতে রয়েছে এক ধরনের এন্টিঅক্সিডেন্ট যা বার্ধক্যের গতিকে ধীর করে।
  • ড্রাইনেস তৈরী করা ছাড়াই ব্রণ নির্মূল করে।
  • শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি যে, গ্রীন টির আরেকটি অসাধারণ গুণ হল ব্রেন পরিচালনা করা। ব্রেনকে ঠাণ্ডা রেখে সঠিক ভাবে পরিচালনা কর‍তে  এর ভূমিকা অনেক। গ্রীন টি ব্রেনের রক্ত সঞ্চালনকে স্বাভাবিক  রাখে। ফলে ব্রেন দ্রুত কাজ করতে পারে। ব্রেনের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন কাজকে নিয়ন্ত্রণ করে আমাদের সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
  • চোখের নিচের ডার্ক সার্কেল দূর করতেও বেশ কার্যকর।
  •  এটি রক্তক্ষরণ কমায়,ক্ষত সারাতে সাহায্য করে, শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং হজমে সহায়তা করে।
  • ফ্রীজ় এর দুর্গন্ধ দূর করতে ড্রাই গ্রীন টির একটি পাতলা কাপড়ে বেঁধে ফ্রীজের এক কোনায় রেখে দিন। ফ্রীজ় এর দুর্গন্ধ দূর হয়ে যাবে।

রূপচর্চায় গ্রীন টিঃ

  • আধা কাপ গ্রীন টির লিকারের সঙ্গে ২ চা চামচ চালের আটা ও ১ চা চামচ লেবুর রস মেশান। মিশ্রণটি ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে গেলে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের কালচে দাগ ও অতিরিক্ত তেল দূর হবে।
  • আধা কাপ দুধের সরের সঙ্গে গ্রীন টির লিকার মেশান এর পর ১ চা চামচ মোটা দানার চিনি মিশিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। চিনি গলে গেলে ত্বকে ২০ মিনিট লাগিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের মরা চামড়া দূর হবে।
  • গ্রীন টির লিকারের সঙ্গে লেবুর রস, ১ চা চামচ অলিভ ও ক্যাস্টর অয়েল মেশান। মিশ্রণটি ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে গেলে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটির ব্যবহারে ত্বকের বলিরেখা দূর উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি হয়।
  • অর্ধেক কলা, ১ চা চমচ গ্রীন টি , ১ চা চমচ মধু এবং ১ চা চমচ টক দই ভালো মতো মিশিয়ে মুখে লাগান। শুকালে ধুয়ে ফেলুন। এটি শুষ্ক ত্বকের জন্য খুব ভালো ময়েশ্চারাইজিং মাস্ক হিসেবে কাজ করে।
  • মধু ও গ্রীন টির লিকার একসঙ্গে মেশান। মিশ্রণে ১ চা চামচ অলিভ অয়েল দিয়ে ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। এটি ত্বকের রুক্ষতা দূর করবে।

  • ঘামের দুর্গন্ধ দূর করতে গ্রীন টি ডিওডোরেন্ট হিসেবে ভালো কাজ করে। গোসলের পর ঠান্ডা গ্রীন টি আন্ডারআর্ম এ লাগালে দুর্গন্ধ দূর হবে। ঠিক এমনিভাবে পায়ের দুর্গন্ধ দূর করতেও একই পদ্ধতি অনুসরণ করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।
  • গ্রীন টির সঙ্গে অ্যালোভেরা জেল ও লেবুর রস মেশান। মিশ্রণটি চক্রাকারে ত্বকে ম্যাসাজ করুন ১০ মিনিট। আরও ১৫ মিনিট অপেক্ষা করে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। মরা চামড়া দূর করে ত্বকে জৌলুস নিয়ে আসবে এই ফেসপ্যাক।
  • ৩-৪ টি গ্রীন টির ব্যাগ ১ লিটার পানিতে এক ঘণ্টা ফুটিয়ে ঠান্ডা করে নিন। এরপর চুল শ্যাম্পূ এবং কন্ডিশন করার পর সেই পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এটি আপনার চুলকে শক্ত ও মজবুত করে।
  • চুল পড়া কমাতেও আপনি ব্যবহার করতে পারেন গ্রীন টি। এটি চুলের গোড়া শক্ত করে এবং হেয়ার ফলিকল উদ্দীপিত করে যা নতুন চুল গজাতে সহায়ক।
  • ডিমের সাদা অংশের সঙ্গে গ্রীন টির লিকার মেশান। মিশ্রণে লেবুর রস ও বেসন মিশিয়ে ফেটিয়ে নিন ভালো করে। মিশ্রণটি ত্বকে কিছুক্ষণ ম্যাসাজ করুন। আরও কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেলুন। মুখের ব্রণের সমস্যা দূর হবে ।
  • ড্রাই গ্রীন টির পাতা মধুর সাথে মিক্স করে স্ক্রাব হিসেবে ব্যবহার করা যায়। যা লোমকুপের ময়লা এবং মৃত কোষ দূর করে ত্বক কে নরম ও মসৃণ করে।

গ্রীন টির কিছু সাধারণ ব্যবহারঃ

  • যারা জুস খেতে ভালোবাসেন তারা এর সাথে দুই টেবিল চামচ গ্রীন টির পাউডার মিশিয়ে নিতে পারেন। প্রতিদিন সকালের নাস্তায় এটি খেলে উপকার পাওয়া যাবে।
  • বাসায় গ্রীল কিংবা বারবিকিউ করা হলে মাংসের জন্য তৈরি মশলার সাথে গ্রীন টির পাউডার মিশিয়ে দিলে মাংসের স্বাদে ভিন্নতা তো আনবে এবং স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও দারুণ ভূমিকা রাখবে।
  • পুডিং বানানোর সময় কিংবা কেক এর বেকিং এর সময় অল্প একটু গ্রীন টির পাউডার যোগ করে ভিন্ন ধরনের এক স্বাদ উপভোগ করতে পারবেন।

কীভাবে গ্রীন টি তৈরি করবেনঃ

  • গ্রীন টি বানাতে ফুটানো, ফিল্টার করা কিংবা বোতলজাত খনিজ পানি ব্যবহার করা উচিত।
  • সাধারণত এক কাপ পানির জন্য  এক চা চামচ (৫ গ্রাম) সবুজ চা পাতা দেয়া হয় । এতে করে একটি ঘন লিকার আসে ।
  • পানি যদি বেশি গরম হয় তবে এর স্বাদ তেতো হয়ে যাবে, সাথে এটি তার সুবাস হারাবে। কাজেই চা তৈরির সবচেয়ে উপযুক্ত তাপমাত্রা হচ্ছে ৭৫-৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যদি টি ব্যাগ ব্যবহার করেন তবে এটা ২-৩ মিনিট ফুটিয়ে নেবেন। চা পাতার জন্য তা আরেকটু বেশি সময় নেবেন ৩-৪ মিনিট।
  • পানিতে দীর্ঘসময় গ্রীন টিয়ের পাতা ডুবিয়ে রাখলেই তা থেকে বেশি পুষ্টি উপাদান বের হবে এমন ধারণা ভুল বরং এতে চায়ের স্বাদ নষ্ট হবে এবং বিষাক্ত হয়েও উঠতে পারে।

গ্রীন টি পান ও সংরক্ষণ করার নিয়মঃ

  • গ্রীন টি পান করার সময় তাড়াহুড়ো করলে চলবে না। কারণ দ্রুত চা পান করলে আপনার মস্তিষ্ক চাঙ্গা হবে না। তাই অফিসে যাওয়ার আগে তাড়াহুড়ো করে পান না করে অফিসে পৌঁছে সময় নিয়ে পান করা উচিত।
  • বেশি উপকারের লোভে কিছু মানুষ দুটি গ্রীন টিয়ের ব্যাগ একসঙ্গে ডুবিয়ে দেন এক কাপ পানিতে। তবে নিয়মিত দুটি টি ব্যাগ দিয়ে এক কাপ চা পান করলে হজমের সমস্যা ও অ্যাসিডিটি হতে পারে। 
  • সকাল বেলা গ্রীন টি খাওয়ার ঠিক আগে কিংবা পরেই ওষুধ খাওয়া উচিত নয়। কেউ আবার গ্রীন টি দিয়েই ওষুধ খান, যা আরও ক্ষতিকর। কারণ ওষুধের রাসায়নিক উপাদান গ্রীন টিয়ের সঙ্গে মিশে অ্যাসিডিটি সৃষ্টি করতে পারে।
  • বেশি পান করা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক। দিনে দুই থেকে তিন কাপ পান করা যেতে পারে।
  • অতিরিক্ত গরম গ্রীন টি পান করলে তার কোনো স্বাদ পাওয়া যায় না। সেই সঙ্গে তাপের কারণে পাকস্থলী ও গলা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। পান করতে হবে কুসুম গরম।
  • গ্রীন টিতে প্রচুর অ‌্যান্টি-অক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ হওয়া সত্বেও তা ৩ কাপের বেশি খাওয়া ঠিক না। এর চেয়ে বেশি খেলে শরীর ডিহাইড্রেটেড হতে পারে।
  • আমাদের দেশের আবহাওয়ায় গ্রীন টিয়ের ব্যাগ খোলা রাখলে নষ্ট হয়ে যাবে। তাই রাখতে হবে টিন কিংবা চিনামাটির পাত্রে।

গ্রীন টি কখন পান করা উচিতঃ

  • সকালের নাস্তার পরে আর সন্ধ্যায় এই পানীয়টি পান করা উচিত।
  • খাবার খাওয়ার ১ ঘন্টা আগে অথবা খাবার খাওয়ার ১ ঘন্টা পর।
  • ব্যায়াম করার ১/২ ঘন্টা আগে পান করা যেতে পারে।
  • রাতে ঘুমোতে যাওয়ার ২ ঘন্টা আগে খেলে ওজন কমাতে সাহায্য করে।

সতর্কতাঃ

  • গর্ভবতী নারীদের গ্রীন টি পান করা উচিত নয়।
  • অতিরীক্ত পানে শরীরের প্রয়োজনীয় লবন পটাশিয়াম ও অন্যান্য মিনারেল এর অভাব দেখা দিতে পারে। 
  • রক্তস্বল্পতায় ভোগা রোগী পান করা ঠিক নয়।
  • অতিরীক্ত পানের ফলে কিডনি ও লিভার এ মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারে।
  • ঘুমের সমস্যা এড়িয়ে যেতে গভীর রাতে পান করা ঠিক নয়।
  • সকালে খালি পেটে পান করা উচিত নয়।
  • খাওয়ার পরপরই পান করা যাবে না।

আরও পড়ুনঃ কেন খাবেন পুষ্টি গুনে ভরা গ্রীষ্মের ফল তরমুজ।


Spread the love