Spread the love

পিরামিড সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট স্থাপত্যের একটি। কেননা এটি কখন নির্মাণ করা হয়েছে এই বিষয়ে শক্তিশালী কোন তথ্য পাওয়া যায় নি। তবে এটি যেসময় নির্মাণ করা হয়েছিল তখন স্থাপত্যের বিকাশ তেমন একটা ঘটেনি, তারপরেও কিভাবে এত বড় পিরামিড তৈরি করা হয়েছিল এটাই সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয়। রূপকথার পুস্পিতবাক্যে নানা রঙ্গে সাজিয়ে ও মিশিয়ে কবি, লেখকরা তাকে নিয়ে রচনা করেছেন বহু কাব্য ও ইতিহাস। অন্যদিকে প্রচুর শক্তি সম্পন্ন চশমা, লেন্স চোখে এটে তাবৎ বিশ্বের বিজ্ঞানীরা খুঁজে দেখতে চেষ্টা করছেন পিরামিডের অর্ন্তদিক।

ধারণা করা হয় আজ থেকে প্রায় পাঁচ হাজার বছর পূর্বে তৃতীয় রাজবংশের ফারাও জোসার – এর রাজত্বকালে ২৬৩০- ২৬১১ খ্রীষ্টপূর্বাব্দে সাক্কারা-তে প্রথম পিরামিড তৈরি করা হয় যার উচ্চতা ছিল ২০৪ ফুট। তিনিই প্রথম ধাপযুক্ত পিরামিড তৈরি করেছিলেন। ধাপযুক্ত পিরামিড তৈরির পেছনে একটি কারন প্রত্নতাত্ত্বিকরা ধারনা করেছেন। সম্ভবত তারা এই ধাপগুলোকে স্বর্গের সিড়ি মনে করত। অর্থাৎ ফারাওরা এই সিড়ি দিয়ে স্বর্গে পৌছবেন এমন ধারণা থেকে সম্ভবত এই ধরনের পিরামিড তৈরি করা হয়েছিল।

প্রাচীন মিসরীয়দের ধর্মবিশ্বাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল পুনর্জন্মে বিশ্বাস। তারা বিশ্বাস করত, মৃত্যুপরবর্তী জগতেও প্রয়োজন হবে ধন, দৌলত ও অন্যান্য জাগতিক বিষয়ের। তাই রাজা ও রানিদের মৃত্যুর পর মৃতদেহের সঙ্গে দিয়ে দেওয়া হতো সোনা, রুপা ও মূল্যবান রত্নাদি। তাদের দেহকে মমি বানিয়ে সংরক্ষণ করা হতো এবং তাদের সব দাস-দাসীকে হত্যা করা হতো, যাতে পরকালে তাদের সেবার অভাব না হয়।

এখন থেকে প্রায় ৪৫০০ বছর আগে যে পিরামিডটি নির্মাণ করা হয়েছিল সেটির ভিত্তি ছিল পুরো বর্গাকার। ২৩০০০০০টি পাথরের ব্লক যেগুলোর প্রতিটির গড় ওজন ২.৫ টন। অবাক করা বিষয় হলো যে বর্গাকার ভিত্তির উপরে এটি নির্মান করা হয়েছিল তার অবস্থান পুরোপুরি উত্তর-দক্ষিন মেরু বরাবর নির্দিষ্ট। একচুল পরিমাণও এদিক-সেদিক নয়।

আরেকটি অবাক বিষয় হলো এর উচ্চতা দিয়ে এর পরিধিকে ভাগ করা হলে পাওয়া যায় সেই ধ্রুব সংখ্যাটিকে যার রহস্য আজও বিজ্ঞানীদের কাছে অজানা। হ্যাঁ, সেই ধ্রুব সংখ্যাটি হলো π (পাই)। এই পিরামিডের উচ্চতা ৪৮১ ফুট। এটি এমনভাবে নির্মাণ করা হয়েছিল যে, মিশরের যেখানেই সূর্য উঠুক সর্বপ্রথম আলোকরশ্নি এর চূড়ায় পৌছবে।  

মিশরীয় পিরামিডগুলির মধ্যে সর্বাপেক্ষা বিখ্যাত পিরামিডগুলি দেখা যায়  কায়রো শহরের উপকণ্ঠে গিজায়। গিজার বেশ কয়েকটি স্থাপনাকে বিশ্বের অন্যতম বৃহদাকার স্থাপনা বলে মনে করা হয়। গিজায় অবস্থিত মিশরীয় খুফুর পিরামিড, পিরামিডগুলির মধ্যে বৃহত্তম। প্রাচীন বিশ্বের সাতটি আশ্চর্য স্থাপনাগুলির মধ্যে এটিই একমাত্র অদ্যাবধি বিদ্যমান।

ফেরাউন পেপির শাসনকালের মধ্য দিয়ে পিরামিড যুগের সমাপ্তি ঘটে। তার শাসনকাল ছিলো ২ হাজার ২৭৮ থেকে ২ হাজার ১৮৪ খ্রিস্টপূর্বাব্দ পযর্ন্ত। শেষ ফেরাউন তার চূড়ান্ত বিশ্রামস্থান হিসেবে পিরামিড তৈরি করেন। সেখানে তার চিত্তাকর্ষক সমাধিও তৈরী করা হয়েছে। ১৭২ ফুট (৫৪ মিটার) উচ্চতাসম্পন্ন তার পিরামিডটি দেখতে সাক্কারাতে প্রথম সুপরিচিত নির্মাতা জোসেরের পিরামিডের ন্যায়।

পিরামিডের মতো একটি স্থাপত্য কীভাবে সম্ভব হলো, কীভাবে তার বিরাট বিরাট পাথরগুলোকে দূর থেকে বয়ে আনা হলো- এসব রহস্য নিয়ে ভাবতে ভাবতে মানুষ অনেক তত্ত্বের জন্ম দিয়েছে। এত উচুতে তারা কিভাবেই বা পাথরগুলো উঠাল এবং বসাল। মরুভূমির মধ্যে এত পাথরই বা তারা কোথায় পেল? এইসব প্রশ্নের উত্তর আজও বিশ্বের মানুষের কাছে এক রহস্য হয়ে রয়েছে যা হয়ত পৃথিবী বিলুপ্ত হবার আগ পর্যন্ত থাকবে।

পিরামিড এর জানা- অজানা

  • ২০০৮ সাল পর্যন্ত মিশরে ১৩৮ টি পিরামিড আবিষ্কৃত হয়েছে।
  • দক্ষিণ আমেরিকার অ্যাজটেক, মায়া সভ্যতাসহ অন্য অঞ্চলেও পিরামিড দেখা যায়। তবে মিশরীয় সভ্যতার পিরামিড বিখ্যাত।
  • এই সমাধিসৌধ বা পিরামিডে মৃতদেহগুলোকে সমাহিত করার আগে মমি তৈরি করা হতো। মমি তৈরি করার পেছনে ছিল এক অভিনব পদ্ধতি। মমিগুলো এমনভাবে সংরক্ষণ করা হতো, যাতে সেগুলো পঁচে-গলে নষ্ট না হয়ে যায়।
  • মিশরের পিরামিড যেখানে অবস্থিত সেখানকার আবহাওয়া অত্যন্ত গরম এবং সবসময় গরম বাতাস চলতে থাকে। এতো কিছুর পরও পিরামিডকে এমন এক আশ্চার্য উপায়ে বানানো হয়েছে যে এর ভিতরে সবসময় ২০ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা বজায় থাকে। যা পৃথিবীর সবচেয়ে  আরামদায়ক তাপমাত্র।
  •  প্রাচীন গ্রীকরা তাদের ভাষায় খুফু নামটি লিখতো ‘চোপস’। এজন্যই গিজার গ্রেট পিরামিডটি চোপস পিরামিড নামেও পরিচিত।
  • প্রাচীন মিশরে নির্মিত সব পিরামিড নীল নদের পশ্চিম তীরে অবস্থিত। মিশরীয়দের ধারণা সূর্য পশ্চিমে মৃত রাজাদের সম্মান জানিয়ে অস্ত যায়।

  • পিরামিডের ভিতরে মোট তিনটি চেম্বার আছে, বেস চেম্বার, কুইনস চেম্বার এবং কিংস চেম্বার। যদি আপনি কিংস চেম্বার দিয়ে থেকে প্রবেশ করেন তাহলে আপনি তিনটি চেম্বারেই যেতে পারবেন এবং ডান দিকের সুড়ঙ্গ দিয়ে প্রবেশ করলেও আপনি তিনটি চেম্বারেই যেতে পারবেন। প্রকৃত সত্য এই যে এখনো এই তিন চেম্বারকে এক্সপ্লোর করা সম্ভব হয়নি। এর ভিতরে আরোও কত চেম্বার আছে তা কেউই জানে না।
  • ফেরাউন খুফুর তিনটি পিরামিড এমনভাবে নির্মিত হয়েছে যেন আকাশ থেকে নিচে দেখলে মনে হকে থ্রী-স্টার তারা। প্রাচীন মিশরীয়রা বিশ্বাস করত মৃত্যুর পরে মানুষ তারা হয়ে রাতের আকাশে জ্বলে ওঠে।
  • প্রাচীন মিশরীয়রা পুনর্জন্মের দেবতা ওসিরীসের শক্তিকে বিশ্বাস করত এবং তিনি ফেরাউনদের পুনরায় জীবন দান করবে এটা ভেবে পিরামিডে নিজেদের দেহ সুসজ্জিতভাবে সংগ্রহ করত।
  • ডায়রি থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে ধারণা করা হচ্ছে ডায়রিটা একজন পিরামিড নির্মাতার যিনি ফারাও খুফুর পিরামিড নির্মাণের দায়িত্বে ছিলেন । তার নাম হল মেরের। প্রাচীন যুগের মিশরীয়রা প্যাপিরাস বা নলখাগড়া থেকে তৈরি কাগজ ব্যবহার করত। এই ডায়রিটাও প্যাপিরাস থেকেই তৈরি। যেসব শ্রমিকেরা বিশালাকার এসব পিরামিড নির্মাণ কাজে জড়িত ছিলো তাদের সম্পর্কে অনেক মূল্যবান তথ্য এই ডায়রি থেকে পাওয়া যায় ।

  • বর্তমান পৃথিবীতে বিভিন্ন স্থাপনা তৈরীতে যে ক্র্যান ব্যাবহার করা হয় তার সর্বোচ্চ ক্ষমতা হচ্ছে ২০,০০০ কেজি। তাহলে আজ থেকে চার হাজার বছর আগে প্রাচীন ইজিপ্টের লোকেরা কিভাবে ৭০,০০০ কেজির এই ব্লক গুলোকে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় সরিয়েছিল। তাদের কাছে কি আরও উন্নত কোন প্রযুক্তি ছিল? এটার একটা সম্ভাবনা হচ্ছে প্রাচীন পৃথিবীতে হয়ত পৃথিবীর বাহির থেকে কেউ এসেছিল, যারা হয়ত এই প্রযুক্তি তাদেরকে সরবরাহ করেছিল। 
  • মমি তৈরি করতে সময় লাগতো প্রায় ৭০ দিন। প্রথমে মৃতদেহের নাড়িভুঁড়ি, ফুসফুস, কলিজা, মগজ ইত্যাদি পচনশীল প্রত্যঙ্গ বের করে আনা হতো। তবে হৃদপিন্ড দেহের মধ্যেই থাকতো। তারপর নেট্রন নামের এক ধরণের লবণ দেহের বাইরে ও ভেতরে ছিটিয়ে দেহ থেকে জলীয় পদার্থ শুষে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হতো।৩৫-৪০ দিনের মধ্যে দেহটি পুরোপুরি শুকিয়ে যেতো। এরপর দেহটিকে ভালভাবে মুছে প্রায় ১৫০ গজ কাপড় দিয়ে মোড়ানো হতো। কাপড়টি এক ধরণের আঠা দিয়ে ভেজানো থাকতো। মোড়ানো কাপড়ের ভাঁজে ভাঁজে বিভিন্ন অলঙ্কার দেয়া হতো। তাদের বিশ্বাস ছিল পরজন্মে মৃত ব্যক্তির এগুলো প্রয়োজন হবে। মৃতদেহ কাপড় দিয়ে মোড়ানোর পর মাথায় একটি মুখোশ পরানো হতো। এরপর তারা মমিটিকে একটি নিশ্ছিদ্র কফিনে রাখতো। প্রাচীন মিশরের বেশ কিছু মমি পাওয়া গেছে, যা এখনও মোটামোটি ভালো অবস্থায় রয়েছে।

  • পিরামিডের ভিতরের দেয়ালে আঁকা নানা রকমের ছবি, চিত্রলিপিতে লেখা ধর্মসংগীত আর দেয়ালে খোদাই করা প্রাচীন লিপি উদ্ধার করে এ সম্পর্কে সঠিক খবর জানার চেষ্টা করেছেন বিশেষজ্ঞরা। এরপরও নিশ্চিত হওয়া যায়নি- ঠিক কী কৌশলে তখনকার দিনে সুউচ্চ পিরামিডগুলো তৈরি করা সম্ভব হয়েছিল। 
  • বলা হয়ে থাকে প্রাচীন মিশরীয়রা স্বাভাবিক মানুষদের চেয়ে আলাদা ছিল। আর এ কারণেই তারা এ বিশাল বিশাল পিরামিড বানাতে পেরেছিলো। অনেকের আবার ধারণা এর পেছনে হয়তো কোন অদৃশ্য শক্তি ছিলো।
  • প্রাচীন মিশরের শাসক বা রাজাদের ফিরাউন ফারাও বলা হতো। মূলত তাদেরকে কবর বা সমাধি দেয়ার জন্যই পিরামিড নির্মাণ হতো।
  • পিরামিডগুলো তৈরীর সময় বল এন্ড সকেট মেথড ব্যাবহার করা হয়েছিল। এটিএমন একটি মেথড যা গরমের সময় ব্লকগুলোর আকার বৃদ্ধি পেয়ে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রন করে। এই মেথড ভূমিকম্প প্রতিরোধ করতে ব্যাবহার করা হয়। এ ধরণের পরিক্ষিত অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যাবহার চার হাজার বছর আগে, সত্যিই অবিশ্বাস্য।

  • ‘স্ক্যান পিরামিড’ প্রকল্পের অন্যতম শীর্ষ কর্তা মেহদি তায়ুবি বলছেন, পিরামিডের ভিতর গুপ্ত কক্ষ ঘর বা থাকে, সেটা অনেকেই মনে করেন। কিন্তু সেটা যে এত বড় হবে সেটা কেউই আন্দাজ করতে পারেননি। কেন এত বড় ঘরটি তৈরি করা হয়েছিল, সেটা এখনও অজানা। 
  • যে পাথর দিয়ে এই পিরামিড বানানো হয়েছিল তা সাধারণ পাথরের চেয়ে লক্ষগুণ বেশি শক্তিশালী। এই পাথর নিয়ে বিস্তর গবেষণা হয়েছে এবং বিজ্ঞানিরা আজ পর্যন্ত বের করতে পারেন নি যে এটা আসলে কি। এটা লাইমস্টোনের মতো দেখতে হলেও এটি আসলে লাইমস্টোন নয় এবং এই পাথর পৃথিবীর আর কোথাও খুজে পাওয়া যায়নি।
  • একটি গবেষণায় বলা হয়েছে মিশরের পিরামিডগুলো তৈরিতে যেসব শ্রমিক কাজ করেছিল তাদেরকে বেতন হিসেবে প্রতি দিন কাজের বিনিময়ে ৪ লিটার বিয়ার দেওয়া হত।
  • পিরামিডের আরেকটি রহস্য হচ্ছে এর জায়গায় জায়গায় সুড়ঙ্গ দিয়ে ভরা। আগে মানুষ মনে করত যে বাতাস প্রবাহের জন্যে এই সুড়ঙ্গ বানানো হয়েছে। কিন্তু সাম্প্রতিক গবেষণা এই ধারণাকে বাতিল করে দিয়েছে। পিরামিডের সুড়ঙ্গের ভিতরে সয়ংক্রিয় রোবট এবং ক্যামেরা পাঠিয়ে দেখা গেছে যে এর অপর প্রান্ত কংক্রিট দিয়ে বন্ধ করে রাখা হয়েছে এবং সেখানে দরজার মতো কিছু একটা বানানো হয়েছে। পরবর্তীতে এই দরজায় ছোট ড্রিল করে ক্যামেরা ঢুকিয়ে দেখার চেষ্টা করা হলে দুর্ভাগ্যবশত ক্যামেরাটি নষ্ট হয়ে যায়। পরবর্তিতে মিসরের সরকার এই বিষয় নিয়ে আর গবেষণার অনুমতি দেয়নি।
  • মিশরের পিরামিডগুলো তৈরিতে যে পাথরের টুকরোগুলো ব্যবহার করা হয়েছিল সেগুলোর ভর এবং দৈর্ঘ্যগুলোর সাথে পৃথিবী, সূর্য ও চন্দ্রের দূরত্ব, ভর এবং ব্যাসার্ধের সাথে রয়েছে গভীর আনুপাতিক সম্পর্ক।
  • পৃথিবীর জিওগ্রাফিক্যাল মধ্যভাগে পিরামিডের অবস্থান। আজ থেকে চার হাজার বছর আগে পৃথিবীর মানুষ তো এটাই জানত না যে পৃথিবী গোলাকার। বরং তারা পৃথিবীকে সমতল মনে করত। তাহলে তারা কিভাবে খুজে বের করতে পারল পৃথিবীর জিওগ্রাফিক্যাল মধ্যভাগ। এটা তখনকার হিসেবে মানুষের দ্বারা আদৌ সম্ভব নয়।
  • গিজার পিরামিডের উচ্চতা প্রায় ৪৮১ ফুট। এটি তৈরি করতে সময় লেগেছিল প্রায় ২০ বছর এবং শ্রমিক খেটেছিল প্রায় এক লাখ।
  • উপযুক্ত কোন কারণ জানা না থাকায় এখন পর্যন্ত মনে করা হয় যে, ওই সময়কার রাজা এবং রাণীর মৃতদেহকে কবর দেয়ার জন্যেই এই পিরামিডগুলো বানানো হয়েছি। তখনকার সময় মৃতদেহ সংরক্ষনের জন্যে মৃতদেহকে লাইনেনের সুতা দিয়ে প্যাঁচিয়ে মমি তৈরী করা হতো। তবে আশ্চার্যের বিষয় এই যে এখন পর্যন্ত পিরামিডের ভিতর থেকে একটা মৃতদেহও পাওয়া যায় নি।
  •  মিশর ছাড়া সুদান, নাইজেরিয়া, স্পেন, গ্রিস, চীনেও কিছু ছোটখাটো পিরামিড রয়েছে।

আরও পড়ুন, চীনের মহাপ্রাচীরের অবাক করা তথ্য।


Spread the love